| ১০ মার্চ ২০২০ | ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশ জুড় জরুরী কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে ইতালি। এর মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং জনসমাগমে না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কন্টে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জরুরী ভ্রমণের ক্ষেত্রেও অনুমোদন নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন যে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষদের সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, “হাতে আর সময় নেই।”
সোমবার ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬৬ থেকে ৪৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের পর এটি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ।
জুজেপ্পে কন্টে বলেন, সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। “আমাদের এখানে সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে…আর সেই সাথে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে,” সন্ধ্যায় দেয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন।
“পুরো ইতালি একটি সংরক্ষিত এলাকায় পরিণত হবে,” তিনি বলেন।
“ইতালির স্বার্থে আমাদের সবাইকেই কিছু না কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আর এটা এখনই করতে হবে।”
“এজন্যই সংক্রমণ ঠেকাতে এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে আমি আরো বেশি দৃঢ় ও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
মিস্টার কন্টে এক কথায় নিষেধাজ্ঞা বোঝাতে বলেছেন, “বাড়িতে থাকুন”- সেই সাথে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
“রাতের জীবন আর থাকবে না; আমরা এগুলোর অনুমতি দিতে পারি না কারণ এগুলো সংক্রমণের উপলক্ষ তৈরি করে,” তিনি বলেন।
ফুটবল ম্যাচসহ সব ধরণের খেলাধুলার অনুষ্ঠান সারা দেশে বাতিল করা হয়েছে। স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সরকার বলছে, শুধুমাত্র যাদের এমন কোন দাপ্তরিক কাজ রয়েছে যা বাতিল করা সম্ভব নয় কিংবা এমন কোন পারিবারিক জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছে যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় শুধু তারাই ভ্রমণ করতে পারবে।
বিমান যেসব যাত্রী আসা-যাওয়া করবেন তাদের সবাইকেই প্রমাণ করতে হবে যে তারা অসুস্থ নন।
ট্রেন স্টেশনে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। বিভিন্ন বন্দরে প্রমোদ জাহাজ নোঙর করার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
পুরো বিশ্বে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ১১১০০০ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩৮৯০ জন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দেশটিতে এখন যারাই পৌঁছাবে তাদের সবাইকে স্বেচ্ছায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে এই রোগে আরো ৪৩ জন মারা যাওয়ার কথা জানানো হয়। মধ্য ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশটিতে ৭১৬১ জন আক্রান্ত এবং ২৩৭ জন মারা গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে আরো বেশি বলে ধারণা করা হয়।
চীনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা থাকলেও দেশটিতে একদিনে নতুন করে ৪০ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে যা গত ২০শে জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন।
যদিও দেখা যাচ্ছে যে দেশটিতে সংক্রমণের হার কমে আসছে, তবু শঙ্কা থাকছে যে, হয়তো সব ঘটনা নজরে আসছে না।