| ২৮ মে ২০২০ | ২:৩২ অপরাহ্ণ
রাজধানীর গুলশান এলাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আগুন লেগে ৫ জন রোগী নিহত হয়েছেন। তারা সেখানে আইসোলেশনে ছিলেন।
বুধবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জনায়, হাসপাতালের নিচের তলায় এসির বিস্ফোরণ থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে । এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে চার জন পুরুষ ও এক জন নারী রয়েছেন। এরা হলেন-রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভেরুন অ্যান্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহবুব (৫০)।
জানা গেছে, হাসপাতালের মূল ভবনের পাশে করোনা রোগীদের জন্য আলাদা একটি আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছিল। সেখানেই ওই ৫ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন জানান, সাত কার্যদিবস শেষে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালের মূল ভবনের পাশে টেম্পোরারি মেটেরিয়াল দিয়ে করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে কোনো অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ছিল না। তবে মূল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ছিল। সেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ পাইনি হাসপাতাল লোকজন।
তিনি আরও জানান, সেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চারটি রুম আছে। চারটি রুমের একটি রুমে এসি দুমড়ে-মুচড়ে অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। চারটি রুম অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে সেটি বিস্ফোরণ হয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে আইসোলেশনে থাকা করোনা সাসপেক্ট ৫ জন রোগী মারা যায়। তবে নিহত পাঁচজন যে করোনা সাসপেক্ট রোগী ছিল সেটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডে ডাক্তার নার্সও ছিল। তারা দ্রুত অগ্নিকাণ্ডের সময় বের হয়ে গেলেও রোগীরা বের হতে পারেনি। অগ্নিকাণ্ডের কারণে রোগীদের মৃত্যু হয়েছে।