জামাল উদ্দিন, গাজীপুরঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ১৪ মে শ্রীপুর থানায় জিডি করলেন হালিম পালোয়ান সালমানএন্টারপ্রাইজ ও ডলফিন বেকারির মালিক শ্রীপুর তাঁতী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। মোহাম্মদ আলী শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের হাজী মোঃ শহিদুল হকের ছেলে।
হালিম পালোয়ান গাজীপুর ৩ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজের নিরাপত্তা সহচর ও আস্থাভাজন আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি শ্রীপুরের প্রহলাদপুর ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের আব্দুল বাতেন পালোয়ানের ছেলে।
জিডি সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন ধরে হালিম পালোয়ান এবং পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যে বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তাদেরকে হুমকিও দিচ্ছে। এমনকি তাদেরকে হত্যা করারও হুমকি দিচ্ছেন।
হালিম পালোয়ান বলেন, পৌর এলাকা বহেরারচালা তাকওয়া ফ্যাক্টরিতে জমিদাতা আমির হোসেনের সাথে মোহাম্মদ আলী ব্যবসা করে আসছে,পরবর্তীতে জমিদাতার সাথে প্রতারণা করে সে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। জমিদাতা আমির হোসেন কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ এবং আমাকে বিষয়টি জানালে তা মোহাম্মদ আলী জানতে পারে। এরপর থেকে মোহাম্মদ আলী আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আমি খুব আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি। আমি আমার জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে শ্রীপুর থানায় একটি জিডি করি। আমি আশা করি উক্ত বিষয়টি শ্রীপুর থানা খতিয়ে দেখবেন। আমাকে জড়িয়ে গাজীপুর ৩ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ ভাইকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তার আসল উদ্দেশ্য।
সালমান এন্টারপ্রাইজ ডলফিন বেকারি মালিক তাঁতী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি তাকওয়া ফ্যাক্টরিতে ব্যবসা করে আসছি আমার সাথে কোন ব্যবসায়ী পার্টনার ছিল না এখনো নেই। কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ এবং হালিম পালোয়ান আমাকে ব্যবসা না করার জন্য হুমকি দেয়। অবশেষে আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। উক্ত ঘটনায় হালিম পালোয়ান সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানায় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগটি তদন্তাধীন আছে।