| ১০ মে ২০২০ | ৯:২৭ অপরাহ্ণ
ভারতের অনুরোধে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি পুণঃ নির্ধারণ করেছে সরকার। আগে টন প্রতি ১০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হলেও এখন থেকে টনে নয়, পুরো চালানের ওপর ৩০ টাকা ফি দিতে হবে। ট্রান্সশিপমেন্ট সংক্রান্ত অন্যসব ফি আগের মতোই রাখা হয়েছে। যদিও এর কয়েকটিতে আপত্তি রয়েছে ভারতের। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট চালু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় পণ্য পরিবহনের জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করে দুই দেশ। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির (আইজিসি) সভায় ওই পণ্য পরিবহনে ৮টি খাতে চার্জ ও ফি আরোপের কথা প্রস্তাব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে সেখানে কয়েকটি খাতে চার্জ ও ফি কমানোর অনুরোধ জানায় ভারত। ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজের প্রবেশ মুখ চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ডকুমেন্ট প্রক্রিয়ার ফি হিসেবে প্রতি টন ১০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ। তবে ভারত সেটি প্রতি চালান হিসেবে নির্ধারণের অনুরোধ জানায়। সে পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রতি চালানের জন্য ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা নির্ধারণ করে নৌমন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় এনবিআর।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত একটি ২০ ফুট আয়তনের কনটেইনারে প্রায় ১৫ টন পণ্য থাকে। সে ক্ষেত্রে আগের হিসেবে ১৫০ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু এখন সেখানে পাওয়া যাবে ৩০ টাকা। এছাড়া অনেক সময় এক বা একাধিক জাহাজের পণ্যকেও একটি চালান হিসেবে ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আয় আরো কমে যাবে। তবে পরীক্ষামূলক চালান যাওয়ার পর বছর শেষে বাস্তবতার আলোকে চার্জ ও ফি নতুন করে নির্ধারণ যাবে বলে নৌমন্ত্রণালয়ের চিঠিতে এনবিআর উল্লেখ করেছে।
ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি ছাড়াও প্রশাসনিক এবং নিরাপত্তাখাতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত চার্জ ও ফি কমিয়ে অর্ধেক করার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। তবে ওই প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত সায় দেয়নি এনবিআর। আগের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতি টন পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বিবিধ প্রশাসনিক চার্জ ১০০ টাকা এবং সিকিউরিটি চার্জ ১০০ টাকা হারে নেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া ট্রান্সশিপমেন্ট ফি প্রতি টনে ২০ টাকা, এসকর্ট চার্জ ৫০ টাকা এবং প্রতিটি কনটেইনার স্ক্যানিং ফি ২৫৪ টাকা আগের মতোই বহাল থাকছে।
এ বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী জানান, চার্জ ও ফি কিছুটা পরিবর্তন এনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমাদেরকে একটি চিঠি দিয়েছে। বিষয়টি আমরা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় ভারতকে জানাবো। ভারত সম্মত হলে আমরা ট্রানশিপমেন্টের দিকে যাব।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |