জামাল উদ্দিন, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে ৫ নং কাওরাইদ ইউনিয়নে ৬ মে ত্রাণের সহযোগিতা চাওয়ার জেরে এক কৃষকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। হামলার শিকার দুলাল মিয়া (৪৭) কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। আহত দুলাল মিয়া শ্রীপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
হামলার ঘটনায় দুলাল মিয়া ইউপি সদস্য শফিক হায়দার ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. ওমর ফারুক পালোয়ান সহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
দুলাল মিয়া জানান, অসুস্থতার কারণে সে কাজ করতে পারে না , খুবই অসহায় তাই সে তার ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিক হায়দারের কাছে ত্রাণ সহযোগিতা চাইলে তাকে ত্রাণ দিতে অসম্মতি জানায় । এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়।
৬ মে বুধবার বিকাল ৫ টায় ধামলই মোড়ে ৬নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি আব্দুল আজিজ ত্রাণ বিতরণের অনিয়ম নিয়ে ইউপি সদস্যের সাথে কথা কাটাকাটি হলে ইউপি সদস্য এবং অ্যাড. ওমর ফারুক পালোয়ান এর নেতৃত্বে আজিজ এবং আমার ওপর অমানবিক হামলা করে তাদের লোকজন। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
৬নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. ওমর ফারুক বলেন, আব্দুল আজিজ আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়লে আমি বাড়িতে চলে যাই । কারো উপর হামলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
ইউপি সদস্য শফিক হায়দার জানান, ত্রাণ নিয়ে কোন ঘটনা ঘটেনি এবং দুলাল এর উপর হামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না ,তবে আব্দুল আজিজ এর সাথে অ্যাড. ওমর ফারুকের হাতাহাতির বিষয়টি স্বীকার করেন।
কাওরাইদ ইউনিয়ন আ লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন ফকির বলেন, গত বুধবার ধামলই মোড়ে ত্রাণ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে আমি লোকমুখে শুনেছি। ঘটনায় দুলাল নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
কাওরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল আজিজ বলেন, দুলাল হাসপাতাল ভর্তি আছে তিনি শুনেছেন কিন্তু কেন কী কারণে ,তা তাকে কেউ বলেনি । আজ তিনি দুলালকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন বলে জানান।
এ অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এস আই মহসিন হোসেন জানান, অভিযোগটি আমি হাতে পেয়েছি খুব দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।