| ০৪ মে ২০২০ | ১:২৯ অপরাহ্ণ
রোজার মাসে ধীরে ধীরে সকল প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। রোজার মাস বলে অনেক কিছু খুলে দেয়া হয়েছে। ঈদের আগে মানুষ কেনাকাট শুরু করতে পারবেন সে ব্যবস্থা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
আজ সোমবার চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এবং সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষকে সুরক্ষিত করে অর্থনীতির চাকা সচল করতে হবে। ব্যবস্থা সচল রাখতে ১ লাখ কোটি টাকা প্যাকেজ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ১৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হবে। সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। বিপাকে পড়েছে দুধ উৎপানকারী খামারীরা। যারা ত্রাণ দিচ্ছেন তারা দুধ কিনে দিতে পারেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম কর্মিরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের সচেতন থেকে কাজ করতে হবে। কৃষি আমাদের বড় সম্পদ। কোন ভাবেই দূর্ভিক্ষ দেখা না দিতে পারে। সে জন্য ধান কাটার পরপর জমিতে নতুন ফসল লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, রংপুর এলাকায় এখন আর মঙ্গা নাই। যাতে নতুন করে মঙ্গা দেখা না দেয় সে জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই। অভাব থাকবে না। পন্য পরিবহনের জন্য রেল সেবা চালু করা হয়েছে।
সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই ভিডিও কনফারেন্স শুরু হবে। এতে রংপুর বিভাগের আট জেলার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সবাই যুক্ত থাকবেন। এছাড়া আট জেলার দায়িত্ব থাকা সচিবরাও যুক্ত হন ।
জেলাগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনির হাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর এবং গাইবান্ধা জেলা।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশনগুলো এই ভিডিও কনফারেন্স সরাসরি সম্প্রচার করবে।
এর আগে শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে তিন দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংকট উত্তরণের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজেরও ঘোষণা দেন।