| ০৩ মে ২০২০ | ১১:০০ অপরাহ্ণ
মৃত্যুর গুঞ্জন উড়িয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ পরে জনসম্মুখে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। শনিবার ২১ দিন পর প্রথমবার দেখা গেল তাঁকে। ফিতা কেটে শানচোন শহরের একটি সার কারখানা উদ্বোধন করেন তিনি। তবে এতোদিন কোথায় ছিলেন কিম? কেন নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন? এমন সব প্রশ্নের কোন উত্তর মেলেনি।
তবে রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কিম জং উন আসলে অসুস্থ ছিলেন না। এমনকি তার কোনো ধরনের অস্ত্রোপচারও হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার দু’জন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ যখন এই খবর দিয়েছে; তখন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মাঝে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালের পরে প্রতিবেশী দেশ দুটির মাঝে এটাই প্রথম গোলাগুলির ঘটনা।
কিম যে অস্ত্রোপচার করেননি, সে বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকলেও তা দিতে অস্বীকার করেছেন দক্ষিণের ওই দুই কর্মকর্তা। কিম অস্ত্রোপচার করেছেন বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, সেই ঘটনাকে মিথ্যা বলেছেন তারা। কিমের চলাচলে পরিবর্তন আসায় এই গুঞ্জন বলে মন্তব্য করেন দক্ষিণের কর্মকর্তারা।
এর আগে রবিবার সকালের দিকে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সরকারি একটি কারখানা পরিদর্শন করে আসার পরদিন এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গত ১১ এপ্রিল থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ জনসম্মুখে আসেননি উত্তর কোরিয়ার এই নেতা।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪১ মিনিটের দিকে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী উত্তরের দিকে দুটি গুলি ছুড়েছে। তবে এতে কোনো হতাহত হয়নি।
জনসম্মুখে না আসায় কিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকদিন আগে স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জানায়, উত্তর কোরিয়ার এই নেতা কার্ডিওভাসকুলারের অস্ত্রোপচার করেছেন।
শনিবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম দৈনিক রোডং সিনমুনে কিমের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ফিতা কেটে একটি সার কারখানার উদ্বোধন করছেন তিনি। তবে রোডং সিনমুনে প্রকাশিত ওই ছবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সূত্র- রয়টার্স।