| ২৭ এপ্রিল ২০২০ | ২:৩৭ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৯৭ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৯১৩।মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের । এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫২ জনে।
আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিলেন ৪১৮ জন। মোট শনাক্ত হয়েছিলেন ৫,৪১৬ জন। এ ছাড়া গতকাল পর্যন্ত আরও ৫ জন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪৫। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৯ জন। মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১২২ জন।
মৃতদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ এবং এক জন নারী। ৫ জন ঢাকার ভেতরে এবং একজন সিলেট ও এক জন রাজশাহীতে।
৫ জনের বয়স ষাট বছরের বেশি। এক জনের বয়স ৪০ থেকে ৫১ বছরের মধ্যে এবং একজন শিশু যার বয়স ১০ বছরের নিচে।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে এসেছে ৮৫ জন এবং বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২২০ জন। এই সময়ে আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯ জন এবং এ পর্যন্ত ৭৩৮ জন ছাড় পেয়েছেন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন এক লাখ ৭৯ হাজার ৪০১ জন।
এখনো পর্যন্ত ঢাকা শহর ও ঢাকা জেলাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এখনো পর্যন্ত ৬০টি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে।
যে চারটি জেলায় এখনো কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায় নি সেগুলো হলো খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, সাতক্ষীরা ও নাটোর।
এর আগে নাটোরে যে এক জন আক্রান্তের কথা বলে হলেও তিনি আসলে ঢাকার বাসিন্দা বলে জানানো হয়।
ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেগুলো হলো যথাক্রমে রাজারবাগ, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, মোহাম্মদপুর, বংশাল, মহাখালী এবং মিটফোর্ডে একই সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি আছে। মিরপুর-১৪ এবং তেজগাঁ এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি আছে।
এছাড়া ওয়ারি, শাহবাগ, কাকরাইল এবং উত্তরায়ও আক্রান্ত ব্যক্তি আছে। এসব এলাকাতেই এখন সর্বাধিক পরিমাণ আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে।