| ২৫ এপ্রিল ২০২০ | ৫:৫২ অপরাহ্ণ
করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে কোর্ট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতিদের নিয়ে রবিবার ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুল কোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে স্বল্প পরিসরে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে কিনা সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।
এর আগে অধস্তন আদালত খুলে দিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি প্রধান বিচারপতিকে পৃথক পৃথক চিঠি দেন। উচ্চ আদালত খুলে দিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া কয়েকজন আইনজীবী ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দিয়ে কোর্ট খোলা রাখতে অনুরোধ জানান। এরপরই স্বল্প পরিসরে রবিবার থেকে কোর্ট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত একাধিক সার্কুলার জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। ওই সার্কুলারে বলা হয়, অতীব জরুরি বিষয়সমূহ নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে একটি বেঞ্চ বসবে। পাশাপাশি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতও খোলা থাকবে। এছাড়া শুধুমাত্র জামিন শুনানির জন্য সপ্তাহে দুই দিন জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিসিয়াল ও চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বসবে।
ওই সার্কুলার জারির পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সিনিয়র আইনজীবী জেডআই খান পান্নাসহ একাধিক আইনজীবী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কোর্ট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানান। এতে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত শুধু বিচারক, আইনজীবী সমাজ নয় সমগ্র জনগণের জীবনকে শঙ্কায় ফেলে দেবে এবং এই মহামারিকে প্রলম্বিত করা হবে। সেজন্য কোন অবস্থায় এবং কোনভাবেই কোর্ট খোলা যাবে না। কোনটা আগে ‘জীবন না জীবিকা’। এছাড়া একাধিক আইনজীবী সমিতি ও সিনিয়র আইনজীবীরা কোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত পুনঃবির্বেচনার অনুরোধ করেন। পরে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের মতামত নিয়ে স্বল্প পরিসরে কোর্ট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করেন।