| ২৪ এপ্রিল ২০২০ | ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইনিন প্রয়োগ নিয়ে মাতামাতির পর কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নতুন প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাজির হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জীবাণুনাশকের ইঞ্জেকশন দিয়ে করোনাভাইরাস ধ্বংস করা যায় কি না – তা নিয়ে গবেষণা শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
একইসাথে, কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে (ইউভি) বা অতি-বেগুনি আলোকরশ্মির তাপ দিয়ে করোনাভাইরাস মেরে ফেলা যায় কিনা – সেটাও খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন মি.ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এসব পরামর্শের কথা জানার পর চিকিৎসা জগতের লোকজনের চোখ কপালে উঠেছে। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাদের অনেকেই।
কারণ, শরীরে জাবাণুনাশক ঢুকলে বিষক্রিয়ায় মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। এমনকী শরীরের বাইরের অংশও অতিমাত্রায় জীবাণুনাশকের সংস্পর্শে এলে তা চামড়া, চোখ, এমনকী শ্বাসযন্ত্রের জন্য বিপদ তৈরি করতে পারে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে করোনা টাস্কফোর্সের এক ব্রিফিংয়ে সরকারি একজন কর্মকর্তা একটি গবেষণার ফলাফল হাজির করেন।
তিনি দাবি করেন, তাদের ঐ গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সূর্যের আলো এবং তাপে করোনাভাইরাস দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে।
ঐ গবেষণার ফলাফলে আরো বলা হয় মুখের লালা এবং শ্বাসযন্ত্রের ফ্লুইডের মধ্যে ব্লিচ বা জীবাণুনাশক দিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে এই ভাইরাস মেরে ফেলা যায়। আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল (অধিকতর শক্তিশালী জীবাণুনাশক) দিয়ে আরো দ্রুত ভাইরাস ধ্বংস করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অস্থায়ী প্রধান উইলিয়াম ব্রান্টের কাছ থেকে এসব কথা শোনার পরপরই উৎসাহিত হয়ে পড়েন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস বিষয়ক রেসপন্স টিমের সমন্বয়কারী ড. ডেবরা ব্রিক্সের দিকে তাকিয়ে মি. ট্রাম্প বলেন, “সুতরাং আমরা যদি দেহকে আলট্রা-ভায়েলেট বা অন্য কোনো শক্তিশালী রশ্মির নিচে রাখি – তাহলে কি হয় আপনারা তা পরীক্ষা করে দেখুন।“
“ঐ আলোক রশ্মি চামড়ার ভেতর দিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে রোগীর শরীরের ভেতর ঢুকিয়ে তার ফল কী হয়, তাও আপনারা দেখুন।“
এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শরীরে জীবাণুনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেন।
“জীবাণুনাশক মিনিটের মধ্যে ভাইরাস ধ্বংস করে দিতে পারে। আমরা কি এমন কিছু করতে পারি যাতে দেহের মধ্যে জীবাণুনাশক ঢুকিয়ে দেহকে একেবারে জীবাণুমুক্ত করে ফেলা সম্ভব হয়।“
“সেটা পরীক্ষা করে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।“
এরপর নিজের মাথার দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি একজন চিকিৎসক নই। কিন্তু আমি এমন একজন মানুষ যার যথেষ্ট ভালো…আপনারা বুঝতে পারছেন আমি কী বলছি।”
ড. ব্রিক্সের দিকে তাকিয়ে এরপর তিনি বলেন, তাপ এবং আলো প্রয়োগ করে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন কি না।
ড. ব্রিক্স উত্তর দেন, তিনি জানেন না। তিনি বলেন, “জ্বর হলে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু বাইরে থেকে তাপ এবং আলো প্রয়োগ করে চিকিৎসার কথা আমি জানিনা”