| ২৩ এপ্রিল ২০২০ | ২:৫০ অপরাহ্ণ
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ৪১৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ১৮৬ জন। মৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। এরা সবাই ঢাকার বাসিন্দা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন যে গত একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৬ জন। এ নিয়ে মোট ১০৮ জন সুস্থ হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও এর বাইরে থাকা মোট ২১টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী মোট ৩৯২১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ৩৪১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এই পরীক্ষার সংখ্যা গতকালের তুলনায় ১০.৩৪ শতাংশ বেশি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর থেকে পরবর্তী ৪৫ দিনে বাংলাদেশে ৩৭৭২ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১২০ জন মৃত্যু বরন করেছিল।
অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে বিশ্বের অন্য দেশে যে হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল তার তুলনায় একই সময়ে বাংলাদেশে সংক্রমণের সংখ্যা কম।
তিনি জানান, প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ইতালিতে ৪৫ দিনে আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ ৩০ হাজার। মারা গিয়েছিল প্রায় ১১ হাজার। স্পেনে একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ এবং মারা গিয়েছিল ১০ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয় এক লাখ ২০ হাজার এবং মারা যায় ২৪ হাজার। সে তুলনায় বাংলাদেশের প্রথম ৪৫ দিনের অবস্থান ভাল।
ইউরোপ-আমেরিকা সহ বিশ্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা তিন শতাধিক বলেও জানান তিনি। সিঙ্গাপুরে সাড়ে চার হাজার বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
যারা ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে আসছে এবং আগামীতে আসবে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, এক মাস আগে অর্থাৎ গত ২৩শে মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ জন। এক মাস পর এই আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪১৮৬ জন।
এই আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫.২৬ শতাংশই ঢাকা শহর ও ঢাকা বিভাগের মধ্যে। যা প্রায় ৪৫.৫১ শতাংশ। এই বিভাগের সব জেলা মিলে আক্রান্তের হার ৩৯.৭৫ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে আক্রান্ত জেলা ঢাকা সিটি। এর পরেই আছে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা।
এ পর্যন্ত আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ৬৮ শতাংশ এবং নারী ৩২ শতাংশ।
২২শে এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ১০% এর বয়স ষাট বছরের বেশি। ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১৫%, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ১৮%, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ২২%, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ২৪%, ১১-২০ বছরের মধ্যে ৮% এবং ১০ বা ১০ বছরের নিচে বয়সীদের মধ্যে ৩% ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্তদের বয়স সীমা ২১ থেকে ৩০ বছর।
এ পর্যন্ত মোট ৫৮টি জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। নতুন যে তিনটি জেলায় শনাক্ত হয়েছে সেগুলো খুলনা বিভাগে।
ঢাকা শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে রাজারবাগ, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, যাত্রাবাড়ী, বংশাল, চকবাজার, মিটফোর্ড, উত্তরা, তেজগাঁ ও মহাখালী।
২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আছে ১২৩ জন। বর্তমানে আছে ৯৯৫ জন। এই সময়ের মধ্যে ছাড় পেয়েছে ২৮ জন। এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছে ৬২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ৩৪২৯জন। আর প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ৫৪৮ জন।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ |