| ২৩ এপ্রিল ২০২০ | ১:৪১ অপরাহ্ণ
প্রায় একমাস বন্ধ থাকার পর খুলতে পারে গার্মেন্টসসহ অন্যান্য কারখানা। তবে সব কারখানা একসঙ্গে না খুলে পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক ধাপে ধাপে খুলতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে কীভাবে কারখানা খোলা যায়, সে বিষয়টি পরীক্ষা করতে সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় কারখানা খোলা ইস্যুতে কমিটি গঠনের এ সিদ্ধান্ত হয়। অবশ্য কবে নাগাদ কারখানা খুলতে পারে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে ঐ সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, কারখানা খোলা সংক্রান্ত ইস্যু ছাড়াও লে অফ (সাময়িক বন্ধ) হওয়া কারখানা মালিকরা সরকারের প্রণোদনার অর্থ পাওয়া, বন্ধ থাকার সময়ে গ্যাস, বিদ্যুত্সহ পরিষেবার বিল জরিমানা ছাড়া পরবর্তীতে পরিশোধসহ বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা হয়। সম্প্রতি লে অফ হওয়া কারখানা মালিকরা সরকারের প্রণোদনার অর্থ পাবে না বলে মন্ত্রণালয় একটি আদেশ জরি করেছে।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় আরেকটি সংশোধিত আদেশ জারি করতে পারে। অন্যদিকে জরিমানা ছাড়া পরিষেবার বিল পরবর্তীতে পরিশোধের বিষয়ও সরকার ইতিবাচক। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, শ্রম সচিব, সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান, সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাকেম, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, বর্তমান সভাপতি ড. রুবানা হক এবং বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন প্রমুখ।