| ১৬ এপ্রিল ২০২০ | ৪:৫১ অপরাহ্ণ
দেশে ফেরার অপক্ষায় রাজধানী রিয়াদ দূতাবাসে বিভিন্ন সমস্যায় আশ্রয় নেয়া সৌদি আরবে গৃহকর্মী ভিসায় আসা ১৫৪ জন বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মী। সৌদির আইনী প্রক্রিয়া সঠিক সময়ে শেষ না হওয়ার করণে তারা দেশে যেতে পারেনি।
বর্তমানে সৌদি আইনী প্রক্রিয়া শেষ হলেও মরণব্যধি রোগ করোনা বিস্তার ঠেকাতে আর্ন্তরজাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আটকে পড়েন বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদের সেফহোমে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীরা। এছাড়া সৌদি আরবের বিভিন্ন মর্গে থাকা বাংলাদেশি কর্মীদের স্থানীয়ভাবে দাফন করার জন্য বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদের শ্রম কল্যাণ কাউন্সিলর মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বর্তমানে আমাদের সেফহোমে ১৫৪জন বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মী রয়েছেন। অনেক আগে থেকেই তাদেরকে দেশে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছিলো।আমাদের অনুরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেফহোমে এসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙ্গুলে ছাপ) নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, সকল আইনি জটিলতা কাটিয়ে ১৩৫জনের ফাইনাল এক্সিট ভিসা পাওয়া গেছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ আছে।
বিশেষ ফ্লাইটের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ফ্লাইট শিডিউল পাওয়া গেলে ১৩৫জন দেশে পাঠাতে কোন আইনি বাঁধা নেই। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে ১৩টি প্রদেশের ৩হাজার ৪৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শ্রমিকদের বাসস্থান হিসাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন শ্রমিক ক্যাম্পে ঘণবসতিতে থাকা বিদেশি শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ বলেও জানায় স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। দূতাবাসের একটি সূত্র জানায় সৌদি আরবের পুর্বাঞ্চলে (দূতাবাসের অধীক্ষেত্র) স্বাভাবিক মৃত্যুবরণকারী ৬০টির বেশি বাংলাদেশি প্রবাসীর লাশ বিভিন্ন মর্গে রয়েছে।
এ লাশগুলো স্থানীয়ভাবে দাফনের জন্য সৌদি কতৃপক্ষ বার বার তাগিত দিচ্ছে। সূত্রটি জানায়, মৃত প্রবাসীর পরিবারের সম্মতি না পেলে স্থানীয়ভাবে দাফন করা সম্ভব নয়।
সূত্র আরও জানায়, একদিকে দাফনের জন্য চাপ, অন্যদিকে পরিবার থেকে সম্মতি না পাওয়ায় মৃত্যদেহগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বিপাকে আছেন দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট শাখা। ঢাকা সিভিল এভিয়েশনের তথ্যমতে, আগামী ৩০এপ্রিলের আগে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের সম্ভাবনা নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে দায়িত্বপালনকারী দূতাবাসের আইন সহায়তাকারী বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাংলাদেশিদের স্বাভাবিক (করোনাভাইরাস নয়) মৃত্যু খবর আসছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকে এসব মরদেহ দাফনের জন্য চাপ দিচ্ছে অন্যদিকে মৃত প্রবাসীদের পরিবার আরও দুইমাস অপেক্ষা করতে বলছে এ নিয়ে আমরা বেশ বেকায়দায় আছি।
এই আইনসহায়তাকারী বলেন, মৃতদের পরিবার থেকে স্থানীয়ভাবে দাফনের অনুমতি দিলে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে মৃতদেহ দাফন করা হয়। যেহেতু এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হওয়া ফ্লাইট কবে চালু হবে সেটা অনিশ্চিত। সেহেতু দীর্ঘদিন মরদেহ মর্গে ফেলে না রেখে স্থানীয়ভাবে দাফনের দাফন করে ফেলাই শরীয়ত সম্মত বলে মনে করেন তিনি।
শ্রম কল্যাণ কাউন্সিলর মেহেদী হাসান বলেন, মৃত প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে স্থানীয়ভাবে মরদেহ দাফনের আবেদন করলে আমরা দ্রুত অনাপত্তিপত্র দিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |