নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে ইটবাহী লড়ি উল্টে সাগর(২০) নামের এক লড়ি চালকে মৃত্যু হয়েছে। এসময় চালকের সহকারী শরিফকে লড়ির নিচ থেকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
বুধবার (৬ এপ্রিল) বেলা এগারোটার দিকে উপজেলার বরমি ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গোলাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাগর ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের কুরচাই গ্রামের মোহাম্মদ খোরশেদ আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন লড়ি চালক। আহত সহযোগী শরীফ(২৩) একই এলাকার মন্নাছ আলীর ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী ফেরদৌস মিয়া বলেন, ইটবাহী একটি লড়ি বরকুল বালিয়াপাড়া সংযোগ সড়ক হয়ে গোলাঘাট এলাকার রেল লাইন অতিক্রম করার সময় হঠাৎ করে লড়ির সামনের অংশ উপরে উঠে যায়। এসময় চালক চেষ্টা করেও লড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এসময় লড়ি পেছনের দিকে যেয়ে নদীর তীরে যেয়ে রেল ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এসময় চালক সাগর চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অপর হেলপার শরিফ ব্রেকের সঙ্গে পা আটকে ঝুলে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা গাড়ির ব্রেক কেটে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। অপর এক সহযোগী লাফ দিয়ে জীবন রক্ষা করে।
স্থানীয়রা জানায়, ইটবাহী লড়ি গাড়িটি চালকের সহকারী শরিফ চালাচ্ছিলো । চালক সাগর তখন পাশে বসা ছিলো।
নিহত লড়ি চালকের বাবা মোহাম্মদ খোরশেদ আলী বলেন, সকালে কুরচাই গ্রামের মেসার্স আরএমবি ব্রিকস নামক একটি ইট ভাটা থেকে ইট নিয়ে শ্রীপুর উপজেলার বালিয়াপাড়া এলাকায় একটি রাস্তার ইট নিয়ে আসে। এরপর দুপুর ১২ টার দিকে ফোন পাই আমার ছেলের গাড়ি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে ছেলের মরদেহ পেয়েছি।
মেসার্স আরএমবি ব্রিকস এর সত্বাধিকারী ও নিগুয়ারী ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. ইন্তাজ আলী বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে একজন চালকের মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই অমল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের লাশ বিনা ময়না তদন্তে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।