| ১২ এপ্রিল ২০২০ | ৯:৪১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যান ও ২ জন মেম্বারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ সচিব (ইউপি শাখা ১) মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বক্ষরিত এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মেম্বাররা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আফসার, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়াডের মেম্বার মো. শাহিন শাহ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও মেম্বার মো. কবির হোসেন। করোনা ভাইরাসের প্রদূর্ভাবে নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মন্ত্রণালয় তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই তিনজন জনপ্রতিনিধিদের অপরাধ মূলক কার্যক্রম জনস্বার্থের পরিপন্থী হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে তাদেরকে কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদেরে অনুরোধ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার ৩ নং মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আফসার এর বিরুদ্ধে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বরাদ্দ ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এর প্রেক্ষিতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়াডের মেম্বার মো. শাহিন শাহ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও মেম্বার মো. কবির হোসেন করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ত্রান বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেন এবং গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার, পল্লী উনয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো তাজুল ইসলাম শনিবার ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন এবং এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর একদিন পরই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো মন্ত্রণালয়।