শনিবার বিকাল ৫ টায় উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কস্থ মাওনা ফ্লাইওভারের পাশেই এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায় উপজেলার বরমী ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বনশ্রী পরিবহনের বাস মালিক মো. কামাল মিয়া ও তাঁর ছেলে ফরহাদকে (২৫) লাঠি দ্বারা উপর্যপরী আঘাত করে রক্তাক্ত করে মাটিতে ফেলে রাখে। পরে পথচারীরা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত ফরহাদ বলেন, আমাদের একটি প্রভাতি বাস গাড়ি আছে। ড্রাইভার প্রতিদিনই বলে বাবু নামের এক লাইনম্যান চাঁদা দাবী করে। তাই আজকে দেখতে আসি। বিকাল ৫ টায় ওই লোক আমার কাছে ২০ টাকা চাঁদা চায়। আমি দিতে রাজি না হওয়াতেই আমাকে থাপ্পর দেয়। পরে বাবাকে জানাই। বাবা এসে তাকে জিজ্ঞস করাতেই লাঠি বের করে আমাকে আর বাবাকে পেটানো শুরু করে। এক পর্যায়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পরে যাই।
কামাল মিয়া জানান, সন্তানকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও বেধরক মার দেয়। স্ট্যান্ডে শ্রমিকলীগ নেতা মজিবর, লোক দিয়ে চাঁদাবাজি করায়। আমরা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় আজকে আমাদের এ অবস্থা। আমি বিচার চাই।
উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মজিবুর জানান, আমাকে শুধুশুধুই দোষারুপ করা হচ্ছে। অথচ আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেছি।
হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান শ্রীপুর পৌর আ.লীগের সাধারণ সস্পাদক নূরে আলম মোল্লা। রোগী দেখে তিনি জানান, গাজীপুর ৩ আসনের মাননীয় সাংসদ জননেতা ইকবাল হোসেন সবুজ ভাই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রথম থেকে লড়ে যাচ্ছেন। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার দাবী করছি।