গতকাল বিকালে ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে দেখা যায় রফিকুল চৌধুরী নামের একজন আ.লীগ নেতা চোর সন্দেহে একজনকে মারধর করছেন। এসময় মুজাহিদ পেশাগত দায়িত্বের জায়গা থেকে মারধরের ভিডিওটি ধারণ করতে চাইলে হঠাৎ করেই ওই আ.লীগ নেতা মুজাহিদের ওপর চড়াও হয়। কথা বলার সুযোগ না দিয়েই মারধর শুরু করে।
ভোক্তভুগী সংবাদকর্মী মুজাহিদ পরবর্তীতে শ্রীপুর থানায় ওই আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ৭ নভেম্বর শনিবার সমবায় দিবস উপলক্ষে মুজাহিদ শ্রীপুর উপজেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায়। অনুষ্ঠান শেষে পকেটমার সন্দেহে পৌর আ.লীগের সহ-সভাপতি একজনকে মারধর করতে দেখে ভিডিও করে সে। ভিডিও করার অপরাধে হঠাৎ রফিকুল ইসলাম ইসলাম সহ কয়েকজন মিলে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এসময় তাঁর কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ টেনে ছিড়ে ফেলে। পকেট থেকে প্রায় ৪ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং তাঁর সাথে থাকা একটি ডিজিটাল ক্যামেরাও ভাঙচুর করে।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম জানান, আমি সংবাদকর্মীকে মারধর করিনি তবে চোরকে মেরেছি। আমাদের শিক্ষাকর্মকর্তাসহ আরো অনেকের মোবাইল চুরি হয়েছে। সেই চোরদের পক্ষে মুজাহিদ কথা বলায় তাঁর সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে।
সংবাদকর্মীর ওপর হামলার বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির হিমু জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তসাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।