| ৩০ মার্চ ২০২১ | ৬:২৪ অপরাহ্ণ
করোনা মহামারির জন্য বিশ্ব একেবারেই প্রস্তুত ছিল না। তাই কোভিড-১৯ থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পরবর্তী মহামারি মোকাবিলার জন্য আগে থেকে চুক্তি চান বিশ্বনেতারা; যাতে সব দেশ আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে পারে।
২০১৯ সালে চীন থেকে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর করোনাভাইরাসের প্রকোপ যখন দ্রুত ছড়াতে শুরু করল, তখন সব দেশকেই দিশেহারা মনে হয়েছে। সরকারের যেমন প্রস্তুতি ছিল না, তেমনই মানুষের দূরতম ভাবনাতেও ছিল না, এমন পরিস্থিতি আসতে পারে। তার ফলে প্রায় প্রতিটি দেশ করোনার প্রকোপ সামলাতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
এরকম পরিস্থিতি ভবিষ্যতে যাতে আর না হয়, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে চাইছেন অনেক দেশের প্রধান। তেইশটি দেশের নেতা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইইউ চাইছে, এই প্রস্তুতির জন্য একটা নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তি হোক।
বিশ্বের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলোতে এদিন একটি উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, দক্ষিণ কোরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপ্রধানরা সই করেছেন। সেখানেই এই চুক্তির কথা বলা হয়েছে।
উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘আমরা মনে করি, মহামারি নিয়ে প্রস্তুত থাকতে এবং তার মোকাবিলা করতে একটা নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তির জন্য দেশগুলোর কাজ করা উচিত। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে যদি মহামারি নিয়ে প্রস্তুতি থাকে, তাহলে তা অনেক ভালোভাবে মহামারি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’
করোনা বুঝিয়ে দিয়েছে, মহামারির মোকাবিলা করতে গেলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা খুবই জরুরি। এমন চিন্তা থেকে গত নভেম্বরে জি-২০ বৈঠকে প্রথম এই ধারণাটি দেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের (ইসি) প্রেসিডেন্ট।
মহামারি করোনার প্রকোপের কারণে বিশ্বের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। করোনার মোকাবিলায় নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে। তাই আন্তর্জাতিক চুক্তি দরকার বলে মনে করছেন অনেক বিশ্বনেতাই। চুক্তি হলে টিকা, ওষুধ ও রোগ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে দেশগুলো সহযোগিতা করবে। সকলে সমান সুযোগ পাবে।
বিশ্বনেতাদের স্বাক্ষরিত ওই নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে মহামারি বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতি আসবে, সেই বিপদকে কোনো একটি সরকার বা কিছু সংস্থা মিলে মোকাবিলা করতে পারবে না।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও জাপানের রাষ্ট্রনেতাদের সই এই নিবন্ধে নেই। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোনো চুক্তি তখনই সফল হতে পারে, যখন তার পথে কোনো রাজনৈতিক বিরোধ না আসে।
করোনার প্রকোপের সময় দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রধান ও নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণ টিকা কিনে মজুত করেছে। ফলে গরিব দেশগুলো টিকা পাচ্ছে না। অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিরোধের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
তবে ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের সরকার প্রধানদের সই করা ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ আমাদের দুর্বলতা ও বিভাজনের সুবিধা পেয়েছে। আমরা এই মহামারি রুখতে এক হয়ে শান্তিপূর্ণ সহযোগিতা করতে পারিনি।’
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |