| ৩০ মার্চ ২০২১ | ৫:৫০ অপরাহ্ণ
বরযাত্রীসহ বিয়ের আসরে পৌঁছে হবু বর দেখলেন বিয়েবাড়িতে তালা। কনে উধাও। বিয়ের মণ্ডপ থেকে এরপরই সোজা থানায়। তবে সেখানেও চমক। চার ‘হবু বর’ থানায় আগে থেকেই অপেক্ষারত। অর্থ আত্মসাতের একই অভিযোগ নিয়ে তারাও থানায় গেছেন।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পাঁচ ব্যাক্তিকে প্রতারণার অভিযোগে কনে ও তার ‘পরিবারের’ দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে দেশটির ফৌজাদারি আইন ৪২০ ধারায় প্রতারণার মামলা করে তদন্তও শুরু হয়েছে।
পাঁচ প্রতারিত ‘হবু বর’র মধ্যে শেষ ব্যক্তি হারদা জেলার বাসিন্দা। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল তার। ভোপালের কোলার রোডের একটি বাড়িতে বিয়ের মণ্ডপ বসবে বলে তাকে জানিয়েছিলেন কনেপক্ষ। তবে সেখানে পৌঁছে তারা দেখেন বাড়িটি তালাবন্ধ। কনেপক্ষকে ফোন করা হলে দেখা যায় তাঁদের ফোন বন্ধ।
ভোপাল জেলার পুলিশ সুপার ভূপেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, প্রতারণাক চক্রটি চালাত মূলত তিনজন। তাতে কনে সাজা ওই নারীর সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেওয়া দুই পুরুষ। ফোন নম্বরের সাহায্যেই তাদের খোঁজ পায় পুলিশ। এরপ গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ বলেছে, ‘তিনজনের এই দলটি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে মধ্যপ্রদেশে। যেসব জেলার বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্রী খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়েন পাত্ররা, সেই জেলাগুলিকেই বেছে নিতেন তারা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রথমে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান। তারপর কথা এগোলে ঠিক হত দেখা শোনার দিন। পাত্রীকে সামনে থেকে দেখতে পাত্রপক্ষকেই আসতে হত ভোপালে। পছন্দ হলে বিয়ের জন্য ‘আগাম’ দিতে হত ২০ হাজার টাকা।