| ২৮ মার্চ ২০২০ | ১১:১০ অপরাহ্ণ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে নিউইয়র্কে জীবন দিলেন বাঙালিনী তৃষা। মৃত্যুর তিনদিন পর সমাধিস্থ হলেন লং আইল্যান্ডে। সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হলো দাফন-কাফন। হাতের স্পর্শহীন যান্ত্রিক ক্রেন দিয়ে কবরে নামানো হলো তরুণীর পবিত্র মরদেহ।
বাংলাদেশ সোসাইটির হস্তক্ষেপে লং-আইল্যান্ডের কবরস্থানে দ্রুত ‘সমাধি’ বরাদ্দ দেয় সোসাইটি। সভাপতি-সম্পাদক কামাল আহমেদ ও রুহুল-আমিন সিদ্দিকী তৎপর হন। অবশেষে ২৬ মার্চ ধর্মীয় মর্যাদায় দাফনকর্ম সম্পন্ন হয়। প্রবাসের মাটিতে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হতে হাতের স্পর্শহীন যান্ত্রিক ক্রেনের মাধ্যমে কবরে নামানো হয় মরহুমার কফিন।
২৩ মার্চ কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান তৃষা। নিউইয়র্কে জ্যামাইকার হাইল্যান্ড এভিনিউয়ে বসবাস করতেন তৃষা। স্বামী বোরহান চাকলাদার পেশায় একজন ‘উবার’ চালক। তিনটি শিশু সন্তানের মধ্যে দুটি মেয়ে একটি ছেলে। কনিষ্ঠ কন্যাটির বয়স মাত্র ১৪ মাস। নিউইয়র্কে তৃষার প্রবাসজীবনও বেশি দিনের নয়; মাত্র চার বছরের।
বাবা মনির হোসেন হাওলাদার একাত্তরের বীর-মুক্তিযোদ্ধা। পৈতৃকবাস বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া-তেলিপাড়ায়। তৃষার পুরো নাম আমিনা ইন্দালিব। জন্ম ১৯৮২ সালের ১৬ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জে। গুণবতী ও রূপবতী হিসেবে ছিলেন সবার প্রিয়ভাজনেষু। আকস্মিক প্রয়াণে স্বদেশে-প্রবাসে শোকের ঢল নেমেছে। ১৪ মাসের দুধের শিশু-সন্তানটির প্রতিপালন নিয়েও সিদ্ধান্তহীনতা চলছে। তবে নিউয়ইর্ক সিটির পুলিশবিভাগ সরকারিভাবে লালন-পালনে আগ্রহী।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |